Namaz content










 প্রচ্ছদ ধর্ম ও জীবন
.
নামাজ সম্পর্কিত 
কুরআনের ১৪ আয়াত ও ৪৩ হাদিস

  

১. 



২. 



 ✔️  সালাত কায়েম করো এবং যাকাত দিয়ে দাও। আর যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু করো (অর্থাৎ জামাতে সালাত আদায় করো)। ’ 
(সূরা  আল বাকারা ২: আয়াত - ৪৩) 

✔️   তোমরা  ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিঃসন্দেহে তা বড়ই কঠিন- বিনীতদের জন্যে ছাড়া ।
 ( সুরাহ বাকারাহ ২: আয়াত ৪৫)

✔️  তোমরা সালাত সমূহের প্রতি এবং ( বিশেষ করে ) মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি যত্ন বান হও, এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্যে একান্ত অনুগত অবস্থায় দাড়াও।
 (সুরাহ বাকারাহ ২: আয়াত ২৩৮)



✔️  অতঃপর যখন তোমরা সালাত সমাপ্ত করবে তখন দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে আল্লাহ কে স্মরণ করো, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ বোধ করবে তখন পুরনাঙ্গ) সালাত কায়েম কর, নিশ্চয় সালাত মু’মিনদের ওপর একটি সময় নির্ধারণ ফরয।
 (সুরাহ নিসা ৪: আয়াত১০৩)


✔️

বল নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎ সমূহের প্রতি পালক আল্লাহর জন্যে।
 (সুরাহ আনয়াম ৫: আয়াত ১৬২)

এবং তুমি সালাত কায়েম কর দিনের দুই দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের প্রথমাংশে। নিশ্চয় ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্যে এটি এক উপদেশ।
 (সুরাহ হুদ ১১: আয়াত ১১৪)  


✔️   সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত কায়েম করো এবং কায়েম কর ফরজের কুরআন পাঠও (অর্থাৎ সালাতুল ফরজ)। নিশ্চয় ফজরের পাঠ ( সালাতুল ফরজ) প্রত্যক্ষ করা হয়। 
(সুরাহ বানী ইসরাইল ১৭: আয়াত ৭৮)


৪. 
✔️   আমি যদি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করি (ক্ষমতা ওঁ সম্পদ দ্বারা) তাহলে তারা সালাত কায়েম করবে, সৎ কাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে, আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহর (নিকট) 
(সুরাহ হাজ ২২: হায়াত ৪১)


✔️   নিশ্চয়ই মুমিনগণ সফলকাম, যারা নিজেদের নামাযে অন্তরের বিনয় প্রকাশ করে। 
(সূরাঃ মু‘মিন ২৩,আয়াত-১-২)

৫.
  
✔️   তুমি পাঠ করো, তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে এবং সালাত কায়েম করো। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে। এবং আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ। আর তোমরা যা করো আল্লাহ তা জানেন।
 (সুরাহ ‘আনকাবুত ২৯: আয়াত ৪৫) 

  






✔️  ওহে যারা  ঈমান এনেছ! জুমু‘আর দিনে যখন তোমাদের কে সালাতের জন্যে ডাকা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয় বিক্রয় পরিত্যাগ কর। এটি তোমাদের জন্যে উত্তম –যদি তোমরা জানতে। (সুরাহ জুমু‘আ ৬২: আয়াত ৯ )

১০
 নিশ্চয়ই নামায মানুষকে অশ্লীল ও ঘৃণিত কাজ থেকে বিরত রাখে। 
সূরা: আনকাবূত, আয়াত-৪৫

১১

সজাগদৃষ্টি রেখ সমস্ত নামাযের প্রতি এবং মধ্যবর্তী নামাযের প্রতি। আর আল্লাহর সামনে আদব সহকারে দাড়াও।
সুরাঃ বাকারা২, আয়াত: ২৩৮)

১৩
  

১৪

 সুতরাং ঐ সব নামাযির জন্য দুঃখ, যারা নিজেদের নামাযসমূহে অলসতা করে। যারা লোককে দেখানোর জন্য নামায পড়ে। 
(সূরাঃ মাউন- আয়াত নং- ৪-৫-

১৫

আর সালাত কায়েম করো
 আমাকে স্মরণ করার জন্য । 
(সূরা ২০ তোয়াহা : আয়াত - ১৪)

১৬



১৭


অবশ্যি সালাত বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে । ’ (সূরা ২৯ আনকাবূত : আয়াত - ৪৫) 

১৯

তোমার পরিবার পরিজনকে সালাতের আদেশ করো। এবং এর উপর অটল থাকো। 
’ (সূরা ২০তোয়াহা : ১৩২)

২০

লোকমান তার ছেলেকে এই বলে উপদেশ দিয়েছিল) হে আমার পুত্র ! সালাত কায়েম করবে ভালো কাজের নির্দেশ দেবে , অসৎ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে , আর (এতে বিপদ আপদ আসলে) ধৈর্য ধরবে। 
 (সূরা ৩১ লোকমান : আয়াত - ১৭

২১

তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো সবর (ধৈর্য) ও সালাতের মাধ্যমে। ’ (সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত - ৪৫

২২
একদল লোক আছে , তাদেরকে ব্যস্ততা এবং ব্যবসা - বানিজ্য আল্লাহর স্মরণ এবং সালাত কায়েম করা থেকে বিরত রাখেনা।
(সূরা ২৪ নূর : আয়াত - ২৭

২৩
একদল লোক আছে) তাদেরকে যদি আমি দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করি , তবে তারা সালাত কায়েম করবে .
(সূরা ২২ আল হজ্জ : আয়াত ৪১

২৪

ইবরাহিম দোয়া করেছিল:) হে আমার প্রভু ! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানাও আর আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও । (সূরা ১৪ ইবরাহিম : আয়াত - ৪০

------*----------*----





 মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সালাত আদায়ের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই তিনি সালাতের বিষয়ে অনেক কথা বলে গিয়েছেন। রাসূলে মকবুল (সা.) সালাতের ফজিলত ও মরতবা সম্পর্কে অসংখ্য বর্ণনার মধ্যে নিচে 
43 টি হাদীস বর্ণনা করা হলো।

(১) 

যে ব্যক্তি পাক-পবিত্র সহি শুদ্ধভাবে রুকু-সেজদার সাথে নামাজ আদায় করলো তার জন্যে বেহেশত ওয়াজিব, দোজখ তার জন্য হারাম হয়ে যায়।
আল হাদিস

(২) 

আল্লাহর পেয়ারা হাবীব (স) আরো এরশাদ করেছেন, রোজ হাশরে সর্বাগ্রে নামাজের হিসাব নেয়া হবে, মহান রাব্বুল-আলামীন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন। নামাজ দ্বীন-ইসলামের খুঁটিস্বরূপ।
আল হাদিস
(৩) 

আল্লাহ পাক পরওয়ারদেগার ঐ ব্যক্তিকে দেখ্তে অধিক ভালোবাসেন যে নামাজের মধ্যে সেজদায় কপাল মাটিতে ঠেকায়।
আল হাদিস 
(৪) 

নামাজ অন্তরের নূরস্বরূপ-যার ইচ্ছা হয় নামাজ দ্বারা অন্তরকে আলোকিত করতে পারে,-
আল হাদিস

(৫) 

মানুষ নামাজে দাঁড়ালে তাঁর জন্য বেহেশ্তের দরওয়াজা খুলে যায়।
আল হাদিস

(৬) 

আল্লাহ ও নামাজের মধ্যে কোন আড়াল থাকে না।- সেজদা অবস্থায় আল্লাহ পরম করুনাময়ের সান্নিধ্য-নৈকট্য বেশী অর্জিত হয়।
আল হাদিস

(৭) নামাজের জন্য আল্লাহতায়ালাকে ভয় করো তিনবার বলা হয়েছে। দ্বীন-ধর্মের একমাত্র নিদর্শন নামাজ- যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে নামাজ সম্পন্ন করে সে প্রকৃত মো’মেন। (৮) দেহের জন্যে যেরূপ মক্তব, দ্বীনের জন্য তেমন নামাজ।

(৯) সেজদায় ব্যবহৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহ পাক দোজখের আগুনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।

(১০) ওয়াক্তমত শুদ্ধভাবে যে নামাজ আদায় করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয়।

(১১) নামাজ মো’মেন লোকের রূহস্বরূপ।

(১২) মহান আল্লাহ পাক ঈমান ও নামাজের চাইতে শ্রেষ্ঠতর আর কিছু ফরজ করেন নাই। যদি করতেন তবে তার
ফেরেশতাকুলকে করতে হুকুম করতেন।

(১৩) মানুষ ও শেরেকের মধ্যে নামাজই একমাত্র প্রাচীর।

(১৪) জমীনের যে অংশে নামাজ আদায় করা হয় সেই অংশ অন্য। অন্য অংশের উপর গর্ব করে থাকে।

(১৫) প্রাত:কালে যে নামাজ পড়তে যায় তার ঈমানের ঝান্ডা উড্ডিদ থাকে।

(১৬) আউয়ালওয়াক্ত অর্থাৎ নামাজের সময় হলে প্রথম দিকে নামাজ আদায় আল্লাহ পাকের নিকট অতীব পছন্দনীয়।

(১৭) নামাজ নি:সন্দেহে প্রত্যেক মো’মেন বান্দার কোরবানীস্বরূপ।

(১৮) ওয়াক্তমত (সুনির্দিষ্ট সময়ে) নামাজ আদায় করা সর্ব শ্রেষ্ঠ আমল।

(১৯) মানুষ যখন একান্তচিত্তে নামাজ আদায় করতে থাকে শয়তান তখন তার প্রতিভয় জড়-সড় কম্পমান থাকে।

(২০) সে যখন নামাজের ব্যতিক্রম করে তখন শয়তানের সাহস বৃদ্ধি পায় ও পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে

(২১) দু’রাকাত নামাজ পড়ে দোওয়া করলে নিশ্চিত আলøাহপাক তা কবুল করে নেন। (২২) যে ব্যক্তি নির্জনে এমনভাবে নামাজ আদায় করলো যে, আলøাহপাক ব্যতীত কেহ জানেনা সে যেন আলহর প্রিয় বান্দা হিসাবে পরিগণিত হলো এবং দোওয়া-ফরিয়াদ কবুলিয়াতের দরজায় পৌঁছে গেল।

(২৩) জোহরের ফরজের পূর্বের চারি রাকাত নামাজ তাহাজ্জুদের চারি রাকাতের সমান। (২৪) মাঝ রাতের নামাজ শ্রেষ্ঠতম ইবাদত।

(২৫) মানুষ যখন নামাজের জন্য দাঁড়ায় আল্লাহ তাবারক তায়ালার রহমত, করুনা, বরকত, নেয়ামত বর্ষিত হয়।

(২৬) হজরত জিব্রাইল (আ) বলেছেন, হে মোহাম্মদ (স) মোমেন বান্দার শরাফত, বোজগী একমাত্র তাহাজ্জুদ নামজে ইহাতে সন্দেহ নেই।

(২৭) 
রাত্রের দু’রাকাত নামাজ দুনইয়ার সকল কিছু হতে শ্রেষ্ঠ। আল হাদিস

(২৮) 

তাহাজ্জুদ নামাজ অবশ্যই পড়বে কারণ তাহাজ্জুদ নামাজে রাব্বুল আলামীনের সান্নিধ্যলাভ এবং যাবতীয় পাপ পংকিলতা থেকে ক্ষমা পাওয়া যায়।
আল হাদিস

(২৯)

 আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাদের এরশাদ করেছেন, তোমরা দিবসের প্রথম ভাগের চারি রাকাত নামাজ আদায়ে কোন প্রকার কার্পণ্য করিও না। কেননা এই নামাজের বদৌলতে সারা দিনের তোমার যাবতীয় কাজ কর্ম, ইচ্ছা, বাসনা সম্পাদন করে দিব। আল হাদিস

(৩০) 

নামাজ শ্রেষ্ঠ জেহাদ।
আল হাদিস

(৩১)

 যখন কোন আসমানী আপদ-বালা-মুসিবত আপতিত:হয় -তখন যারা নামাজ আদায়কারী তাদের উপর থেকে যাবতীয় আপদ-সমস্যা, সংকট থেকে মুক্তিলাভ করবে। (৩২) অজু করত: নম্র ও বিনয়ের সাথে যে নামাজ আদায় করত: মাগফিরাত কামনা করে, তার সর্ব প্রকার গুণাহ রাশীক্ষমা করে দেয়া হয়।
আল হাদিস

(৩৩)

 রাসুলে পাক (স) বলেছেন, যাবতীয় আমলের মধ্যে নামাজই আমার নিকট অত্যন্ত প্রিয়।
আল হাদিস

(৩৪) 

নামাজ সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে- নামাজ রোজা রোজগার বৃদ্ধি করে এমনকি, রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তিলাভ এবং মন-দিলকে শক্তিশালী, বিশেষ করে চেহারা নুরানী হয়ে ওঠে।
আল হাদিস

(৩৫)

 নামাজ থেকে যারা গাফেল (দূরে সরে) থাকে এসব মানুষদের কুকুরের সমতুল্য করে দেয়।
আল হাদিস 

(৩৬) 

এছাড়া আরো বলা হয়েছে-বিনাওজরে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করলে সে কাফেরের পর্যায়ভুক্ত হবে। আল হাদিস

৩৭

হজরত উম্মি ফারওয়াহ রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী কারিম (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, সবচেয়ে মর্যাদাবান ‘আমল কোনটি? তিনি বলেন, ওয়াক্তের প্রারম্ভে সালাত আদায় করা। 

(সুনানু আবী দাঊদ: ৪২৬, জামি’উত তিরমিযী:১৭০)

৩৮

হযরত আবূ হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুনাফিকদের কাছে ফজর ও ইশা অপেক্ষা অধিক ভারী কোনো সালাত নেই। আর যদি তারা জানত যে, এতদুভয়ের মধ্যে কী (ফযীলাত) রয়েছে, তাহলে অবশ্যই তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এর জন্যে আসত। (সহীহ বুখারী: ৬৫৭, সহীহ মুসলিম: ৬৫১)

৩৯
হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, বান্দা (আনুগত্য) ও কুফরীর মধ্যে (পার্থক্য) হলো সালাত ত্যাগ করা। (সহীহ মুসলিম:৮২)

৪০

 হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের অভিমত কী, যদি তোমাদের কারো দরজায় একটি পানির নহর থাকে যাতে সে দৈনিক পাঁচ বার গোসল করে, তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকতে পারে? তারা (সাহাবীগণ) উত্তরে বললেন, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে না। রাসূল (সা.) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ এরূপই। বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তার অপরাধসমূহ মিটিয়ে দেন। (সহীহ বুখারী: ৫২৮, সহীহ মুসলিম: ৬৬৭)

৪১

হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমার সালাত থেকে অপর জুমার সালাত এবং এক রমযান মাসের সিয়াম হতে অপর রমজান মাসের রোজা সেসব গুনাহের জন্যে কাফফারা হয়, যা এর মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে থাকে; যখন কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা হয়। (সহীহ মুসলিম:২৩৩)

৪২

 হযরত ‘আমর ইবনে শুয়াইব রহ. হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতা হতে, তার পিতা তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে সালাতের জন্যে আদেশ কর, যখন তারা সাত বছর বয়সে পৌঁছাবে। আর যখন তারা দশ বছর বয়সে পৌঁছবে, তখন তাদেরকে সালাতের জন্যে প্রহার কর এবং তাদের শোয়ার স্থান পৃথক কেরে দাও। (সুনানু আবী দাঊদ: ৪৯৫)


৪৩

আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, হুযূর আকদাস সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
অর্থাৎ- সবচেয়ে বড় চোর সেই, যে নিজ নামায চুরি করে। কেউ আরয করলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! নামায কীভাবে চুরি করে? ইরশাদ করলেন, রুকূ ও সিজদা পুরোপুরিভাবে আদায় করে না। 

(মুজামুল কাবীর-২০৮)

৪৪

যার নামায তাকে অশ্লীল ও নিষিদ্ধ কাজসমূহ থেকে বিরত রাখে না, তা নামাযই নয়। 
(তাবরানী)



(লেখকের ‘কুরআন মাজীদের আদেশ ও নিষেধ’ বই থেকে সংকলিত)।


Developer Content